🕉️✨ হারায় নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ — সম্পূর্ণ ভজন ও নাম-মাহাত্ম্য ✨🕉️
🙏✨ এই ভজনটি হলো শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন পবিত্র নাম, যেমন—হরি, কৃষ্ণ, মাধব, কেশব এবং গোবিন্দ-এর সম্মিলিত কীর্তন। এই নামগুলি জপ করলে মন শুদ্ধ হয় এবং জীবনের সকল দুঃখ দূর হয়। এটি শুধুমাত্র একটি গান নয়, বরং ভক্তের হৃদয়ের গভীরতম ভক্তি ও আত্মনিবেদনের প্রকাশ। এই ভজন কীর্তনের মাধ্যমে ভগবানের সাথে একটি আত্মিক সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। 💛🕉️
🎵 ভক্তি ভরে কীর্তন করার নিয়মাবলী 🎵
এই পবিত্র নামগুলি গাওয়ার সময় লয় বা গতি পরিবর্তন করে গভীর ভাব প্রকাশ করা হয়। শুরুতে ধীর লয়ে (আদি লয়) ভক্তি ও ধ্যান বাড়ানো উচিত, এরপর মধ্য লয়ে ভাবের প্রকাশ ঘটাতে হয়। অবশেষে, দ্রুত লয়ে (উত্তেজনাপূর্ণ অংশ) সকলে মিলে আনন্দ সহকারে নাম-কীর্তন করলে তার ফল বহুগুণ বেড়ে যায়।
- **১. আদি লয়:** (ধীরে, শান্তভাবে) মনোনিবেশ করার জন্য।
- **২. মধ্য লয়:** (সাধারণ গতি) ভাব প্রকাশ ও তাল ধরার জন্য।
- **৩. দ্রুত লয়:** (উত্তেজনাপূর্ণ) সকল ভক্ত মিলে উচ্চস্বরে আনন্দ প্রকাশের জন্য।
📜✨ সম্পূর্ণ ভজন: নাম-স্মরণ ও লীলা-কীর্তন ✨📜
🌺 এখানে ভজনটির সম্পূর্ণ পাঠ দেওয়া হলো। এই পংক্তিগুলো পাঠ বা কীর্তন করলে মনে শান্তি আসে এবং ভগবানের কৃপা লাভ হয়।
🎵✨ জয় রাধা-কৃষ্ণ! ✨🎵 হারায় নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ জগৎপালন মাধবায় কেশবায় নমঃ। গোবিন্দ গোপাল ঘনশ্যাম হরি রাধারমণ দয়াময় হরির নাম ধরি। হারায় নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ যাদবায় নমঃ নমঃ নমঃ। মাধবায় নমঃ কেশবায় নমঃ কেশবায় নমঃ নমঃ নমঃ। গোবিন্দ গোপাল ঘনশ্যাম হরি দীনবন্ধু দয়াল রাধারমণ হরি। মাধব কেশব নন্দলাল শ্যাম জয় জয় জয় হরি রাধাশ্যাম। হারায় নমঃ কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ মাধবায় নমঃ কেশবায় নমঃ। হরি গোবিন্দ হরি গোপাল জয় রাধাশ্যাম অনন্ত করুণাময়। 🕉️ হারায় নমঃ… কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ… মাধবায় নমঃ… কেশবায় নমঃ… জয় শ্যাম… রাধাশ্যাম…
🌼✨ ভজনের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ও মহিমা ✨🌼
এই ভজনের প্রতিটি নামে গভীর আধ্যাত্মিক অর্থ লুকিয়ে আছে:
- **“হারায়”** — ইনি হলেন হরি, যিনি ভক্তের সমস্ত দুঃখ, পাপ ও বাধা হরণ করে থাকেন।
- **“কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ”** — যদু বংশে জন্ম নেওয়া পরম সুন্দর ও আনন্দময় শ্রীকৃষ্ণকে সশ্রদ্ধ প্রণাম।
- **“মাধব, কেশব, গোবিন্দ”** — এই নামগুলি ভগবানের বিভিন্ন লীলা ও শক্তিকে নির্দেশ করে, যা আমাদের মনকে তাঁর প্রতি আরও আকৃষ্ট করে।
- এই নামস্মরণ মনকে শুদ্ধ করে, পাপক্ষয় ঘটায় এবং জীবকে মুক্তি ও পরম শান্তির পথে চালিত করে।

