🔥 “পূজাকে শয়তানের ইবাদত বললেন সাবেক এমপি হারুন!” – হিন্দু সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া 🚨😡
বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। কিন্তু সম্প্রতি সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ হারুন এমন একটি মন্তব্য করেছেন, যা শান্তিপ্রিয় মানুষের মনকে গভীরভাবে আহত করেছে।
তিনি প্রকাশ্যে বলেন—
👉 “পূজা হচ্ছে শয়তানের ইবাদত।”
এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে 🔥 এবং হিন্দু সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
😠 হিন্দু সমাজের প্রশ্ন — আমরা কি তাকে পূজা করব, নাকি বয়কট করব?
হারুনুর রশিদের এই বক্তব্য শুধু হিন্দুদের অপমান নয়, বরং দেশের বহু ধর্মবিশ্বাসী মানুষের প্রতি অশ্রদ্ধার প্রকাশ বলে অনেকে মনে করছেন।
- ❓ একজন নেতা কিভাবে এমন উসকানিমূলক মন্তব্য করতে পারেন?
- ❓ তিনি কি জানেন না, বাংলাদেশ বহু ধর্মের মানুষের দেশ?
- ❓ জনগণ কি এমন নেতাকে মেনে নেবে যিনি অন্যের ধর্মকে অপমান করেন?
সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তার বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দিয়েছেন 🚫।
📜 বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে?
বাংলাদেশের সংবিধান স্পষ্টভাবেই বলে—
- ✔ প্রত্যেক মানুষ তার নিজস্ব ধর্ম পালন করতে স্বাধীন।
- ✔ অন্যের ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তাই সাবেক এমপি হারুনের এই বক্তব্য শুধু অনৈতিক নয়, আইনি দিক থেকেও প্রশ্নবিদ্ধ ⚠️।
🤝 ধর্মীয় সম্প্রীতি — বাংলাদেশের গর্ব
এই দেশে দুর্গাপূজা, ঈদ, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বড়দিন—সবই সম্মানের সঙ্গে পালিত হয়। এটাই বাংলাদেশের সত্যিকারের সৌন্দর্য 🇧🇩✨।
একজন নেতার মুখ থেকে এ ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্য সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
📢 মানুষের দাবি — ক্ষমা চাইতে হবে!
- 🔸 তাকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে
- 🔸 বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে
- 🔸 ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে
কারণ—
👉 জনগণের প্রতিনিধি কখনোই জনগণের একটি অংশকে অপমান করতে পারেন না।
📝 উপসংহার
ধর্ম মানুষের হৃদয়ের বিষয়। পূজা, নামাজ, প্রার্থনা—এসবই শান্তি, ভালোবাসা এবং স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পণের পথ।
একজন সাবেক এমপি যদি প্রকাশ্যে একটি ধর্মকে অপমান করেন, তবে তা সমাজে হিংসা ও বিভাজন তৈরি করে। বাংলাদেশের শক্তি একটাই— সম্প্রীতি, ভালোবাসা ও পারস্পরিক সম্মান। ❤️🤝
✍️ লেখক: রঞ্জিত বর্মন

