📰🔥 কালীগঞ্জের নলতায় সওজের উচ্ছেদে গাজীরহাট দুর্গা মন্দিরে ধাক্কা, স্থানীয়দের ক্ষোভ! 🛕😡
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে এলাকায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি জমি উচ্ছেদের নামে গাজীরহাট দুর্গা মন্দিরের অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। 😱
মন্দির এবং স্থানীয়দের উদ্বেগ
গাজীরহাট দুর্গা মন্দির বহু বছর ধরে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এটি শুধু ধর্মীয় নয়, বরং এলাকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে সওজ বিভাগ কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভ, আতঙ্ক এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। 🛕⚡
প্রশ্ন উঠেছে—উচ্ছেদ আইনসিদ্ধ কি?
- মন্দির উচ্ছেদের আগে কি আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল?
- ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙার মতো সংবেদনশীল বিষয়ে কেন কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি?
- এই সিদ্ধান্তের দায়ী কারা এবং এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাব কি ছিল?
প্রশাসনের সম্ভাব্য যুক্তি
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে সরকারি জমি পুনরুদ্ধার ও সড়ক সম্প্রসারণের জন্য। তবে স্থানীয়রা মনে করছেন, এই ধরনের সংবেদনশীল এলাকায় যথাযথ পরিকল্পনা ও সহযোগিতা ছাড়া অভিযান চালানো হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিও ও পোস্টে দেখা গেছে, স্থানীয়রা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই এটিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ন্যায্যতা ও নিরাপত্তা হরণের ঘটনা হিসেবে দেখছেন। ⚠️
অন্যান্য প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে তৈরি মন্দির বা পূজা মণ্ডপ উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারের যুক্তি ছিল, সেই সব মন্দির অনুমতি ছাড়া নির্মিত হয়েছিল।
যেমন ২০২৫ সালে ঢাকায় এক দুর্গা মন্দির ভাঙার ঘটনা, যেখানে প্রশাসন বলেছিল মন্দিরটি সরকারি জমিতে অবৈধভাবে তৈরি হয়েছিল।
এলাকার প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে পুনরায় না ঘটতে প্রশাসনিক দায়িত্ব ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
উপসংহার
কালীগঞ্জের নলতায় সওজের উচ্ছেদ অভিযান শুধুমাত্র প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়; এটি সামাজিক ও ধর্মীয় দিক থেকে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্দিরের অংশ ভাঙা নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ, উদ্বেগ এবং ন্যায্যতার দাবিই এখন প্রধান ফোকাস।
যদিও সরকারি উদ্দেশ্য ছিল সড়ক সম্প্রসারণ, তবু এই ধরনের ঘটনা স্থানীয়দের সহমর্মিতা ও সহযোগিতা ছাড়া সম্পূর্ণ করা উচিত নয়। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। 🙏🛕

